Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস

জবির শিক্ষক শাহেদ ইমন বহিষ্কার, চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম

জবির শিক্ষক শাহেদ ইমন বহিষ্কার, চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি

প্রভাষক আবু শাহেদ ইমন ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিম। ফাইল ছবি

শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার জন্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্য বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি, খুব শীঘ্রই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাব।

তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে৷ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সে বিষয়েও সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যুগান্তরকে বলেন, তাকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিচার কাজে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম। অভিযুক্ত প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে চেয়ারম্যান শেল্টার (আশ্রয়) দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান মীম।

এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের অভিযোগ এনে বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বরাবর আবেদন করেন মীম। আবেদনে তিনি বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ প্রশাসনের জবাবদিহির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম