Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস

পিপলস ইউনিভার্সিটির অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম

পিপলস ইউনিভার্সিটির অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সুনাম ফিরিয়ে আনতে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত ‘পিপলস ইউনিভার্সিটির’ শিক্ষার্থীরা। 

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ বিক্ষোভে অনেক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মেম্বার সেক্রেটারি অধ্যাপক শামীমা নাসরিন সাহেদের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নেই। এ সুযোগে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মেম্বার সেক্রেটারি অধ্যাপক শামীমা নাসরিনের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ইউনিভার্সিটির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। কিন্তু নিজের প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করেছেন। পরবর্তীতে আরেকজন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে অধ্যাপক শামীমা নাসরিন ইউনিভার্সিটির দায়িত্বে বহাল থাকলে তা আবারো প্রভাবিত হতে পারে। এ বিষয়ে ইউজিসির হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। 

ইউনিভার্সিটিটি মোহাম্মদপুরের আসাদ অ্যাভিনিউ এলাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মেম্বার সেক্রেটারির বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। শিক্ষার্থীরা অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার কথা জানতে পেরে তার পদত্যাগের জন্য গত ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মোল্লা শিক্ষার্থীদের বুঝাতে গেলে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বার সেক্রেটারি শামীমা নাসরিনের উপদেষ্টা পদ স্থগিত করেন এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন চেয়ারম্যান। শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত হয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা কার্যকর চেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন। পরবর্তীতে তা কার্যকর না হলে পুনরায় বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। ইউনিভার্সিটিকে বাঁচাতে যৌক্তিক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান। শিক্ষার্থীরা আরও জানান, রোববারও তারা বিক্ষোভ করবেন। 

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে একাত্ততা প্রকাশ করেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত বদরুজ্জামান খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি খুবই মর্মাহত, বিস্মিত ও দুঃখিত। আজকে আলোচনা করার কথা ছিল ইউনিভার্সিটি কিভাবে উন্নীত করব। ৯৪’ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিভার্সিটি। অথচ আজকে তোমাদেরকে রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। 

সুমন বলেন, আমাকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। ৫ বছর ধরে আমি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে পারছি না। অথচ আমার বাবা প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ছিলেন। পদাধিকার বলে আমি নমিনি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হওয়ার কথা। দুর্নীতির জন্যই কি আমাকে দূরে রাখা হয়েছে? আবেদন করলেও আমাকে এখন পর্যন্ত সদস্য করা হয়নি। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন- এমন আরও সাতজন মারা গেছেন। আমাকেসহ তাদের সন্তানদেরও (নমিনি হিসাবে) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য করে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও দেশে এবং বিদেশে মর্যাদাশীল করার দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন খারাপ অবস্থা হতো না এবং শিক্ষার্থীদেরও রাস্তায় নামতে হতো না। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, ক্লাস রুম, ক্যান্টিন, ট্রান্সপোর্ট সমস্যাসহ নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। এ বিষয়ে আমরা কমিটি করে দিয়েছি। সমস্যা সমাধান হওয়ার পথে। 

বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মেম্বার সেক্রেটারির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাস্টি বোর্ড হলো হায়ার অথরিটি। এগুলো তো আমাদের এখতিয়ার বর্হিভূত। আমার জানা মতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে বলছেন, সেভাবে তো অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম