কর্তৃপক্ষের প্রশ্রয়ে অছাত্ররা হলে থাকছে

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩২ পিএম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোতে আসন বরাদ্দ নেই দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর। এ কারণে অবৈধ ছাত্ররা হলে অবস্থান করছে এবং তাদের ইশারায় বারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক। সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হয়।
চবি প্রশাসনকে উদ্দেশ করে অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, আপনারা বৈধ ছাত্রদের আসন দিচ্ছেন না। কারণ, আপনাদের অনেক অবৈধ লোকজনকে হলে রাখতে হচ্ছে। তারাই বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। কিছু ছাত্র নানা কারণে এতে জড়িয়ে পড়লেও মূল নেতৃত্ব দিচ্ছে অবৈধরা। নিয়মিত ছাত্রদের আসন বরাদ্দ দিলে অবৈধরা হলে থাকতে পারত না।
তিনি বলেন, রোববার প্রশাসন যে সংবাদ সম্মেলন করেছে সেখানে ওই ছাত্র সংগঠনের নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তাদের সাধারণ ছাত্র বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হলেও সেই দায় প্রশাসন স্বীকার করেনি। উলটো সংঘর্ষের দায় শিক্ষক সমিতির ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছে। যা চবি প্রশাসনের দেউলিয়াত্বের পরিচয় বহন করে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, কার্যিনর্বাহী পরিষদ সদস্য ড. লায়লা খালেদাসহ অন্যরা।
এর আগে রোববার চারুকলা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে চবি কর্তৃপক্ষ। এতে চলমান আন্দোলন ও ছাত্রলীগের লাগাতার সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলেন উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ অন্যরা। শিক্ষক সমিতির আন্দোলনকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তারা বলেন, শিক্ষক সমিতির লোকজন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আন্দোলন করছে। প্রশাসনের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পালটা সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষক সমিতি।