Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস

ইবির ফুলপরীকে নির্যাতনের এক বছর

সেদিনের কথা মনে পড়লেই ভয়ে শিউরে উঠি

Icon

ইবি প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১২ পিএম

সেদিনের কথা মনে পড়লেই ভয়ে শিউরে উঠি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ২০২৩ সালের ১১ ও ১২ ফেব্র“য়ারি নবনী ছাত্রী ফুলপরী খাতুনের ওপর রাতভর নির্যাতন চালায় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মী (বহিষ্কৃত)। জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনা নির্যাতনের শিকার ফুলপুরীর পড়াশোনা ও স্বাভাবিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ইতোমধ্যে ফুলপরী ক্যাম্পাসে এক বছর পার করেছেন। থাকছেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে। নির্যাতনের ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে চেষ্টা করছেন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার। তবে দুঃসহ সেই স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তাকে। সার্বিক বিষয় নিয়ে রোববার ফুলপরী কথা বলেন যুগান্তরের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইবি প্রতিনিধি সরকার মাসুম।

সাক্ষাৎকারে ফুলপরী জানান, সে রাতের ঘটনার কারণে প্রথমদিকে পড়াশোনায় কিছুটা ঘাটতি হয়েছিল। পরবর্তীতে সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। নির্যাতনের ভয়াবহ স্মৃতি কখনো ভোলা সম্ভব না। একাকী থাকলে সেদিনের ঘটনা স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। সেদিনের কথা মনে পড়লে এখনো ভয়ে শিউরে উঠি, তখন খুব বেশি মন খারাপ হয়। শুধু একটাই কথা মনে হয়, কোনো অপরাধ না করেও আমার সঙ্গে এতকিছু ঘটে গেল। তবে আমি সবকিছু ভুলে থাকার চেষ্টা করি।  এখনো অনেক বান্ধবী তাকে এড়িয়ে চলেন বলে জানান ভুক্তভোগী এ শিক্ষার্থী। বলেন, পড়াশোনার ক্ষেত্রে শিক্ষক-সহপাঠী সবাই সহযোগিতা করে। তবে বান্ধবীরা অনেকেই এখনো আমাকে এড়িয়ে চলে। একসঙ্গে কোথাও যেতে চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে না করে দেয়। বান্ধবীদের থেকেও বড় আপুরা (হলের) আমাকে অনেক কাছে নিয়েছে। নিঃসঙ্গতায় তাদের সঙ্গে গল্প-আড্ডায় সময় কাটাই।

ফুলপরী আরও বলেন, জড়িতদের যেহেতু আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে এতে আমি সন্তুষ্ট। ঘটনার প্রথম দিকে নিরাপত্তা শঙ্কায় থাকতাম। এখন আর তেমন নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা হয় না। অন্য শিক্ষার্থীদের ভুক্তভোগী হওয়ার বিষয়ে ফুলপরী বলেন, আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদারকির অভাবে হলগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রশাসনকে আরও বেশি তৎপর হওয়া দরকার। একইসঙ্গে যারা এ ধরনের ঘটনার শিকার হয় তারা ভয় না পেয়ে প্রতিবাদ করা উচিত।

আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (বহিষ্কৃত) ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী (বহিষ্কৃত) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম