Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস

জাবিতে মাতাল ২ নারী আটক

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম

জাবিতে মাতাল ২ নারী আটক

দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীর সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় অসদাচরণের অভিযোগে বহিরাগত দুই নারীকে আটক করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এসে অভিযুক্ত দুই নারীকে নিরাপত্তা শাখা থেকে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের এক কর্মকর্তার মেয়ের বিয়ের দাওয়াতে আসেন ওই দুই নারী। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হচ্ছিলেন তারা। এ সময় প্রধান ফটকের দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মী তাদের পথরোধ করেন। তখন তাদের গাড়িচালক নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরাপত্তা কর্মীকে আঘাত করেন। এরপর গাড়ি থেকে বের হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন ওই দুই নারী। তারা নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন, তখন ঘটনাস্থলে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের সঙ্গেও বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি তাদের বাবার বন্ধু বলে পরিচয় দেন ওই দুই নারী। এরপর তাদের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে নিরাপত্তা শাখায় নেওয়ার কিছুক্ষণ পর সেখানে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন উপস্থিত হন। পরে ওই দুই নারীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি।

এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ হেল কাফী বলেন, তারা আমার আত্মীয় না। তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের এক সাবেক শিক্ষার্থীর অতিথি। তারা বিয়ের দাওয়াতে এসেছিল। নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও গার্ডদের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পর ওই সাবেক শিক্ষার্থী আমাকে ফোন দেন, তখন আমি গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিই। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাবি ছাত্রলীগের সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আজকের ঘটনা শুনে নিরাপত্তা শাখায় গিয়েছিলাম। পরে একজন শিক্ষকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম