ফিলিস্তিন সংহতি দিবস: ঢাবি শিক্ষার্থীদের মার্চ ফর প্যালেস্টাইন
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ এএম
আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবসে বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনে মার্চ ফর প্যালেস্টাইন পালন করেছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশাল পতাকা নিয়ে সাংস্কৃতিক সেগমেন্ট ও র্যালির আয়োজন করেন। মার্চ ফর প্যালেস্টাইনের পতাকাটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় পতাকা বলে অভিহিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ কর্মসূচি শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের র্যালিটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ভিসি চত্বর ও ফুলার রোড হয়ে শহিদ মিনারে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘লাব্বাইক লাব্বাইক, লাব্বাইক ইয়া আকসা’, ‘ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘জায়োনবাদ নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘ফিলিস্তিনের বীরসেনারা, লও লও লও সালাম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, লও লও লও সালাম’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের মানুষ, মা-বোনেরা অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। একজন মুসলিম হিসাবে তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। বাংলাদেশ সরকারও স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসছে। আজ আমরা সেই সংহতি জানানোর জন্যই একত্রিত হয়ে হয়েছি।
ফের বাংলাদেশে অধ্যয়নরত এক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণকারী ধন্যবাদ জানিয়ে ইংরেজিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা বিগত ৭৫ বছর ধরে আমরা নির্মম দখলদারিত্বের শিকার। আমরা প্রতিনিয়ত ভূমি, প্রাণ, মর্যাদা হারাচ্ছি। গত দুই মাস ধরে আপনার এর নজির দেখেছেন। আমরা অধিকার, মর্যাদাসহ স্বাধীনভাবে আমাদের ভূমিতে বসবাস করতে চাই। আমরা নিপীড়ন ও নির্মম দখলদারিত্বের অবসান চাই এবং এটা অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। আমি এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি, এই আয়োজন আমার জন্য আনন্দের। যারা নির্মমভাবে নিহত শিশু ও নারীদের প্রতি প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন তাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।