হল ও শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কয়েক দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ছাত্রলীগের কর্মীরা এ তালা দেন। এতে আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে প্রধান ফটক।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বাসগুলো আটকা পরে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন তারা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সোমবার অনুষ্ঠিত হয় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ। অনুষ্ঠান শেষে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নবীন শিক্ষার্থীদের। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনার আশ্বাস দিলে তারা তালা খুলে দেন। এর আগে নবীনবরণ চলাকালে অনুষ্ঠানস্থল কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুই দফায় মারামারিতে জড়ান ছাত্রলীগ কর্মীরা। এদিকে একই সময় উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সিন্ডিকেটে ছাত্রলীগের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়েই এই আন্দোলনের সূত্রপাত বলে মনে করছেন অনেকেই।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ। কথায় কথায় এভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গাড়ি আটকাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের শিক্ষকদের সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কখনো যদি শিক্ষকদের গাড়ি আটকানো হয় তাহলে আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করব। বিষয়টি নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে বিবৃতি দেব। কারা আন্দোলন করছে এটা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে। তাদের নিয়ে আমরা আগামীকাল (মঙ্গলবার) বসব।’
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত জানিয়েছেন, চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। ছাত্রলীগের সঙ্গে এই আন্দোলনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক।’