
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৭ এএম
বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-বোনাস নিয়ে তামাশা বন্ধের দাবি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম

বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন-বোনাস নিয়ে তামাশা বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের নেতারা।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ইএফটিতে বেতন-ভাতা প্রদানে হয়রানি ও ৩ মাস বেতন-ভাতা প্রদানে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা’ শীর্ষক মানববন্ধনে এই দাবি জানান তারা।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম জাকারিয়া বলেন, ইএফটিতে বেতন প্রদানের নামে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে তা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক। শিক্ষকরা দ্রুত বেতন পাবে এজন্য ইএফটি চালু হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও অযাচিত ভুল ধরে হয়রানির কারণে তা আজ গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা সাধারণ নিয়মে এযাবৎ বেতন-ভাতা পেয়ে এসেছেন তাদেরকেও কাগজ-পত্র ঠিক নেই বলে অযুহাত দেখিয়ে ঈদের আগেও অনেকের বিগত ৩ মাসের বেতন-ভাতা প্রদানে কর্তৃপক্ষ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে যেন শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ও ঈদ বোনাস পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বেতন ভাতা না পেয়ে শিক্ষকরা যদি অভুক্ত থাকে তবে ঈদ পরবর্তী সকল শিক্ষক সংগঠনকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে পতিত সরকারের পদলেহী কিছু কর্মকর্তা শিক্ষকদের ক্ষেপিয়ে তুলতে বেতন-ভাতা প্রদানে গড়িমসি করছে কি না তা তদন্তের আহ্বান জানান।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারী জেনারেল প্রভাষক ডা. আব্দুস সবুরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, পল্টন কলেজের শিক্ষক এবং জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সাবেক দায়িত্বশীল শিক্ষক নেতা প্রভাষক মোহাম্মদ ইসমাইল, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল এমএম আমীর হোসেন, কেন্দ্রীয় সংবিধান সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) প্রভাষক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও নগর দক্ষিণ সেক্রেটারী প্রিন্সিপাল এমএম আকবর আলী সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতি রুহুল আমীন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি উবায়দুর রহমান প্রমুখ।