Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাবের বিবৃতি

বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ থামছে না

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ থামছে না

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। 

নারী নির্যাতনসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। 

সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান রোবাবর এক বিবৃতিতে বলেন, অতিসম্প্রতি দেশজুড়ে নারীদের প্রতি সহিংসতা ও হেনস্থার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। জীবনে চলার পথে নিত্যদিনই নারীরা যেমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তেমনি অনলাইনেও তারা সাইবার বুলিংসহ বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট এবং শপিংমল ও কর্মস্থল থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে শিশু, ছাত্রী এবং নারী শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার নারীদের শ্লীলতাহানী এবং হেনস্থা করা হচ্ছে। ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাধ্যমে নারীদেরকে হত্যা করার মতো নির্মম ও জঘন্য ঘটনাও ঘটছে।

ইউট্যাবের নেতারা বলেন, দেশে একের পর এক নারীকে হেনস্থা ও আক্রমণ এবং সামগ্রিক বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বিচারহীনতার এহেন সংস্কৃতির কারণেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না বলে অনেকেই মনে করছেন। সামাজিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে কেন আজ নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং এর পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, সেটি যাচাই করা প্রয়োজন। এই অসভ্যতা ও সহিংসতার পেছনে কোনো উগ্রগোষ্ঠীর উসকানি বা মদদ থাকতে পারে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে।

তারা বলেন, আমরা শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলা নারী নির্যাতনের এই প্রতিটি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের অবিলম্বে যথাযথ শাস্তির দাবি করছি। নারীদের সম্মান ও স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, যা তাদের সংবিধান অনুযায়ী স্বীকৃত অধিকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান- নারী নির্যাতনসহ সকল নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোরভাবে দমন করে দেশে ন্যায়বিচার এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম