Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

আসিফ নজরুলের কড়া সমালোচনায় সেই খাদিজা

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম

আসিফ নজরুলের কড়া সমালোচনায় সেই খাদিজা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দীর্ঘ ১৫ মাস কারাভোগকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নৃশংসতার যদি কোনো নিকৃষ্ট উদাহরণ থেকে থাকে, হয়তো তার মধ্যে অন্যতম আমি। কারণ বিনা দোষে, কোনো কিছু না করে, কোনো কিছু না বলে ১৫ মাস আমি জেল খেটেছি। 

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মাঠে শাখা ছাত্রদল আয়োজিত বইমেলা উদ্বোধন ও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ‘অদম্য নারী, শক্তিতে অজেয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী খাদিজা বলেন, হয়তো ফ্যাসিস্ট একটা উদাহরণ তৈরি করেছিল আমাকে দিয়ে যে, তুমি মেয়ে হও আর যাই হও, শিক্ষার্থী হলেও আমার বিরুদ্ধে কথা বললে তোমাকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। 

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সমালোচনা করে জবির এই শিক্ষার্থী বলেন, আমরা স্টুডেন্টরা বিশ্বাস করে আজকে সরকারের উপদেষ্টাদের বসিয়েছি। আসিফ নজরুল স্যার যদি বিচারগুলো করতে না পারেন, তাহলে আপনি নেমে যান।

খাদিজা বলেন, ২০২০ সালে করোনাকালীন মেজর দেলোয়ারের সঙ্গে একটা লাইভ করি। সেখানে স্বাভাবিক ৬ থেকে ৭টা প্রশ্ন করি, তিনি (মেজর দেলোয়ার) শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বলেন। তারপরও মামলা হয়নি। দুই বছর পর অনেক ঝামেলা করে, মামলা অনেক বড় করে আমাকে ধরে নেওয়া হয়। 

নারী দিবসের প্রসঙ্গ টেনে খাদিজা বলেন, আজকে যে নারী দিবসের কথা, আমরা সমতা চাই, অধিকার চাই। কিন্তু কোন দিক থেকে চাই? সমতা মানে এই না যে, পুরুষ বাইরে যেটা শো (দেখাতে) করতে পারছে, আমি সেটা নারী হয়ে পারব। দুঃখিত আমার কথায় যদি কারও ব্যক্তিত্বে আঘাত লাগে। আমাদের নারীদের ইসলামে অনেক উপরে স্থান দেওয়া হয়েছে। আমরা সমতা চাই, অধিকার চাই ঠিক আছে। আমরা আমাদের কোটা বাতিল করেছি। কিন্তু আমরা সমধিকার কথাটাকে অন্যদিকে নেব না, সেটিকে আমরা যথাযথভাবে কাজে প্রয়োগ করব। 

জুলাই-আগস্টের অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে খাদিজা বলেন, আজকে সরকারের পতন হয়েছে আট মাস। এতকিছুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আমরা দেখছি না, কারও কোনো ধরনের বিচার হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে না। আমার মামলা শেষ হয়েছে অনেক আগেই, কিন্তু অন্যরা এখনও কোর্টে যাচ্ছে। যেগুলোর প্রমাণ আছে, সেগুলোর বিচার করা দরকার। যেখানে আন্দোলন করার দরকার আমরা নারীরা সেখানে আন্দোলন করি না। আট বছরের একটা মেয়েকে ধর্ষণ করা হলো, সেটা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। অথচ কেউ একটা কিছু বললেই আমরা মেয়েরা রাস্তায় নেমে পড়ি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম