কুবি শিক্ষার্থীকে তুলে নিল র‌্যাব, ছেড়ে দিল পুলিশ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়েছে র‌্যাব। তাদের দাবি, ভুল অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়া হয়। পরে অবশ্য ওই শিক্ষার্থীকে থানায় হস্তান্তর করা হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কোটবাড়ির চাঙ্গীনির মেস থেকে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম হান্নান রহিম। তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী। কুবি থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন এ শিক্ষার্থী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরির বিরুদ্ধে বেশ সরব হান্নান। শুক্রবার নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘হিযবুত তাহরির লীগ, হিজবুত তাহরিরকে প্রতিহত করুন। কাউকে জানা থাকলে প্রশাসনকে তালিকা দিয়ে সহযোগিতা করুন।’

ভুক্তভোগী হান্নান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে আলাপ তোলার পর থেকেই কিছু মহলের বিরাগভাজন হয়ে পড়ি। সম্প্রতি, এক চাঁদাবাজকে ধরার উদ্দেশে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করি, যা হয়তো কোনোভাবে তাদের কানে পৌঁছায়। এমনিতেই টার্গেটে ছিলাম, এর মধ্যে সূত্র থেকে জানতে পারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চক্র আমাকে নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন র‌্যাবের সঙ্গে যাই, তারা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাই। আমার আগের পোস্ট ও মোবাইল পর্যালোচনা করে। এতে তারা বুঝতে পারে আমার বিরুদ্ধে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল তা ভুল। এ কারণে পরে তারা আমার কাছে ক্ষমা চায়।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে থানা সূত্রে জানা গেছে, ভুল অভিযোগের ভিত্তিতে হান্নানকে তুলে আনে র‍্যাব-১১ এর একটি দল। পরে থানায় হস্তান্তর করা হলে ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১১ এর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুল তথ্যের জেরে হান্নানকে তুলে আনা হয়। হিজবুত তাহরির সঙ্গে জড়িত ১০-১২ জনের একটা তালিকা আছে তাদের কাছে। শিগগিরই তালিকা ধরে ধরে হিজবুত তাহরির সদস্যদের গ্রেফতার করা হবে।