
প্রিন্ট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৫ এএম
বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে রেলপথ অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ঢাবি কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে এবং বিকেন্দ্রীকরণ বাংলাদেশ গড়ার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন একদল শিক্ষার্থী। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা না রাজশাহী, রাজশাহী, রাজশাহী’; ‘ঢাবি না রাবি, রাবি, রাবি’, ‘ঢাকা না রংপুর, রংপুর, রংপুর’; ‘ঢাকা না কুমিল্লা, কুমিল্লা, কুমিল্লা’, ঢাকাকেন্দ্রিক সিন্ডিকেট ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর প্রত্যেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল সবাই একসঙ্গে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব; কিন্তু দেখা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকাকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট একটি সিন্ডিকেটের কাছে রাষ্ট্র বন্দি হয়ে গেছে। জুলাই আন্দোলনে অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অস্বীকার করে এককভাবে ক্ষমতার কেন্দ্র করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। অভ্যুত্থানের প্রত্যেকটা অংশীদারকে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।
রাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, জুলাই বিপ্লবে দেশের প্রত্যেকটা প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয়, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের একটা দুর্গ গড়ে উঠেছিল; কিন্তু বিপ্লবের পরবর্তীতে সেই একক আধিপত্যবাদের ব্যাপারটা আবার চলে এসেছে। ইউজিসি-পিএসসিতে সদস্য, সংস্কার কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, এমনকি উপদেষ্টামণ্ডলী-সবকিছু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আন্দোলনে দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত ঝরেছে, তাহলে সুবিধা কেন একটি প্রতিষ্ঠান পাবে? আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানসহ প্রান্তিক পর্যায়ে এ সুবিধা ভোগের সুযোগ পাবে।
রাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, ৫ আগস্টের বিজয়ের পর আমাদের প্রত্যেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল আমরা সবাই একসঙ্গে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব। এতদিন পরে এসেও আমরা দেখছি ঢাবি বা ঢাকা কেন্দ্রিক নির্দিষ্ট একটি সিন্ডিকেটের কাছে রাষ্ট্র বন্দি হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা শ্রেণির মানুষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অস্বীকার করে এককভাবে ক্ষমতার কেন্দ্র ঢাবি বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে করা হয়েছে। আজকে রেললাইন অবরোধ করে আমরা দাবি জানাচ্ছি আন্দোলনের প্রত্যেকটা অংশীদার এবং পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ দিতে হবে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।