Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

মহানবীকে (সা.) কটূক্তি: রাবি শিক্ষার্থীর আসন বাতিল ও পুলিশে সোপর্দ

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ পিএম

মহানবীকে (সা.) কটূক্তি: রাবি শিক্ষার্থীর আসন বাতিল ও পুলিশে সোপর্দ

ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে এ ঘটনা ঘটে। 

ওই শিক্ষার্থীর নাম সাগর হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও মাদার বখশ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিল করেছে হল প্রশাসন। 

হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার সাগর তার ফেসবুক আইডিতে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক হিসেবে পরিচিত ব্লগার আসাদ নূরের করা মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তিমূলক একটি ভিডিও পোস্ট শেয়ার করে কিছু কথা লিখেন। মাদার বখশ হলের একজন শিক্ষার্থী ওই পোস্টের একটি স্ক্রিনশর্ট হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার গ্রুপে দেন। 

পরে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সাগরের কক্ষে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। খবর পেয়ে হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাগরকে তাৎক্ষণিক পুলিশের কাছে হস্তান্তর ও হলের আসন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে নগরের মতিহার থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। 

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ শাহ্ হোসাইন আহমদ মেহদী বলেন, নাস্তিক আসাদ নূরের ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করে মহানবি হজরত (সা.)-কে অবমাননা করার অভিযোগে মাদার বখশ হলের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল রাতে বেশকিছু শিক্ষার্থী ফোন করে তাকে ঘটনাটি জানায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও তার স্টাফদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষার্থীর বিচার দাবি করেন। তারা তাৎক্ষণিক তার হলের আসন বাতিল করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নগরের মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক  বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক শিক্ষার্থীকে ধর্ম অবমাননা করার অভিযোগে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা রয়েছে। 

মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ঘটনার বিষয়ে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে দেখবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম