চুয়েটের হলে মাদক সেবনের অভিযোগে ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ পিএম

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চার শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। আবাসিক হলে মাদক সেবনের অভিযোগে সোমবার শৃঙ্খলা কমিটির ২৮৩তম জরুরি সভায় ওই চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মাহবুবুল আলমের পাঠানো পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী এবং অপরজন যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তারা শহিদ মোহাম্মদ শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা গেছে, গত রোববার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মোহাম্মদ শাহ হলের একটি কক্ষে প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টরা অভিযান চালান। এ সময় চার শিক্ষার্থী ও দুই ক্যানটিন বয়কে কক্ষটিতে সন্দেহজনক অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ওই কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে ২০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০০ মিলিলিটার মদ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে দুই ক্যানটিন বয় জানান, তারা শিক্ষার্থীদের এসব মাদক সরবরাহ করেছেন। শিক্ষার্থীদের কললিস্টেও ক্যানটিন বয়দের সঙ্গে ফোনালাপের সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া এক ক্যানটিন বয়ের মোবাইল ফোনে চার শিক্ষার্থীর একটি কক্ষে বসে মদ পানের ভিডিও পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের মাদক সেবন ও মাদক রাখার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন হল প্রভোস্ট। জব্দ হওয়া আলামত ও লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত সোমবার শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভায় ওই চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে একই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ নীতিমালার বিধি অনুযায়ী আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, তা ওই শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরে ১১ মার্চের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।