ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটের আমতলা চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। ক্যাম্পাসের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে হয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্যারিস রোডে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  

বিক্ষোভকারীরা ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ স্লোগান দেন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এতে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদী মারুফ বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে আমাদের দুই বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পরেও পুলিশ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আপনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। 

২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে না পারলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ দাবি করেন আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সজীব। 

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের কোনো আত্মীয় নয়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা এই সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি যেন দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু তারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, গদি থেকে নামিয়ে দিতেও আমাদের সময় লাগবে না। চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ কোনো মামলা নেয়নি। যেখানে পুলিশের বাদী হয়ে মামলা করার কথা, তাও করেনি। 

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া মুহিব। 

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিব হোসেন, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শ্রেয়সী, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী গোপাল রায় প্রমুখ।