
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গেট টুগেদার ও সাধারণ সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন হাজার সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনজারুল আলম, ইবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুল হাই। পরে অ্যালামনাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও স্মৃতিচারণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র উপদেষ্টা জিল্লুর রহমান এবং আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
এদিকে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা, বক্তব্য, ক্রেস্ট প্রদান, অ্যালামনাই সদস্যদের মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। এছাড়াও ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম এলামনাইয়ের স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ নাজমুল হক সাঈদী বলেন, আমরা যখন এখানে পড়াশোনা করেছি তখন আজকের মতো এতো বিভাগ ও সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাস ছিল না। আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একটা বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। একজন অ্যালামনাই হিসেবে আমরা আমাদের ক্যাম্পাস নিয়ে গর্ববোধ করি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আপনাদের আগমন এখানে বসন্ত উৎসবের মতো মহিরূহে পরিণত হয়েছে। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাইভেট ফান্ডিং করে থাকে। অ্যালামনাইরা চাইলে একটি ল্যাব, সেমিনার লাইব্রেরি এমনকি একটা ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং তৈরি করতে পারেন। মায়ের যেমন সেবা করা দরকার, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তেমন বিশ্ববিদ্যালয়কে সেবা করবে। যারা পুরোনো তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আপনারা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আগলে রাখবেন।