Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে দেওয়া সেই তালা ভাঙল একদল শিক্ষার্থী

Icon

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে দেওয়া সেই তালা ভাঙল একদল শিক্ষার্থী

আওয়ামী লীগের দোসর দাবি করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবি করে তার কার্যালয় ও বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল একদল শিক্ষার্থী। এবার সেই তালা ভাঙা হয়েছে। পাতানো সিন্ডিকেট সভা করার অভিযোগ এনে তালা দেওয়া শিক্ষার্থীরাই সেই তালা ভেঙেছে।

শুক্রবার প্রায় ঘণ্টা অবস্থান শেষে বিকালে উপাচার্যের বাসভবনের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রোববারের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

এর আগে শুক্রবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকালেও উপাচার্যের বাসভবন ও কার্যালয়ে তালা দিয়েছিলেন এ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাসভবনের ভেতরে থাকা সহকারী প্রক্টর মারুফা আক্তারের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা বলেন শিক্ষার্থীরা।

ওই সময় মারুফা আক্তার শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভা গোপনীয়তায় হয়ে থাকে। নতুন করে তো কোনো এজেন্ডা আসবে না। কোনো ফ্যাসিস্টকে তো সিন্ডিকেট সদস্য বা অন্য কোনো দায়িত্ব দেওয়া হবে না।’ এ সময় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন তুলে সহকারী প্রক্টর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচারী সিন্ডিকেট সদস্য কে?’ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসার কথাও জানান তিনি।

প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে বহুবার বসা হয়েছে। কোনো সমাধান আপনারা করেননি। শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২ দফার কোনো প্রতিফলন ঘটানো হয়নি। আপনারা পাতানো সিন্ডিকেট দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করতে চাচ্ছেন। আমরা পাতানো সিন্ডিকেট মানি না।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে বিশেষ সুবিধা ও ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণের সুবিধা দেওয়ার জন্য আওয়ামী দোসরদের নিয়ে জরুরি সিন্ডিকেট আহ্বান করেছেন উপাচার্য।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের দোসররা ক্যাম্পাসে অবাধে বিচরণ করছে। উপাচার্যের দায়িত্ব ছিল ক্যাম্পাসকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করা। কিন্তু তিনি তা করেননি। এমনকি শিক্ষার্থীদের কোনো চাওয়াই পূরণ করতে পারেননি। বরং, উপাচার্য আওয়ামী ফ্যাসিস্টেদের ও তার সহযোগী রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখেছে।’

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাতানো সিন্ডিকেট ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন ঠেকাতে আমরা শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছি। আমাদের ১০ দফা দাবি মেনে না নিলে আমরা এক দফা দাবিতে যেতে বাধ্য হব।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম