মাউশি ও নায়েমের ডিজিকে অপসারণের দাবি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এহতেসাম উল হক ও জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) ডিজি অধ্যাপক ড. জুলফিকার হায়দারকে অপসারণ, শতভাগ উৎসব ভাতা প্রদান, শিক্ষকদের বদলি, প্রায় ৯০ হাজার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ও অবসরের টাকা প্রদান, মহার্ঘ্য ভাতা, জাতীয়করণ ও নায়েমের ডিজি অপসরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতারা।
বুধবার শিক্ষা ভবন ঘেরাও কর্মসূচি শেষে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তৃতায় সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক এএইচএম সায়েদুজ্জামান বলেন, মাউশির ডিজি পদে পদায়ন পাওয়া অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তার হাত ধরেই বরিশাল বিএম কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পান অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক।
তিনি বলেন, আওয়ামী বলয়ের প্রভাবশালী অধ্যক্ষ হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিস্তর অভিযোগে ৫ আগস্টের পর অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলন, আলটিমেটাম এবং শিক্ষা সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরই তাকে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের এই নেতা বলেন, আওয়ামী ভিসি এবং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পরিবর্তন হলেও বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত চাপের মুখে তাদের আবার ডেকে এনে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আওয়ামী সুবিধাভোগী এসব কর্মকর্তার পুনর্বহাল এবং গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পদায়ন করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙার বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট সব সময় সরব ছিল, আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
মাউশি ও নায়েমের ডিজিসহ সব আওয়ামী দোসরদের শিক্ষা ক্যাডার থেকে অপসারণ করার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।