ইবিতে ৪টার মধ্যে অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
ইবি প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের যেকোনো অনুষ্ঠান পালনের জন্য নির্দিষ্ট শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে বিকাল ৪টার মধ্যে অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তকে প্রশাসনের ‘উদ্ভট চিন্তা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দুষছেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের মধ্যে যেকোনো অনুষ্ঠানের অনুমতির জন্য ছাত্র উপদেষ্টা বা প্রক্টর বরাবর আবেদন করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন কেউ অংশ গ্রহণ করবে না মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
এছাড়া বিকাল ৪টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে সমালোচনার ঝড়। এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও প্রহসনমূলক দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশাসনকে দুষছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে অতিদ্রুত এমন সিদ্ধান্তকে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাফর ইকবাল বলেন, বিকাল চারটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা চলে। প্রশাসন কিভাবে এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়? তারা কি বিশ্ববিদ্যালয়কে কিন্ডারগার্টেন বানাতে চাচ্ছে? আমরা অতিদ্রুত এমন সিদ্ধান্তের পরিবর্তন চাই।
আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, এটি একটি প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় সংস্কৃতি চর্চার পথে একটি বাঁধা। আমরা এই সিদ্ধান্ত বাতিল চাই।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় এমন বাঁধাধরা নিয়মনীতি চলতে পারে না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার কথা জানিয়েছেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে শিক্ষার্থীরা যদি চাই, তাহলে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা অনুষ্ঠান করতে পারবে। এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী নেই। এছাড়া ইবি থানাও খুব একটা একটিভ না। সেক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হচ্ছে। নিরাপত্তার বিষয়টি সমাধান হলে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা যায় কিনা সেটি পরবর্তীতে বিবেচনা করা হবে।