গুলশান-১ অবরোধ তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২০ পিএম
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণার দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরে আন্দোলন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। সবশেষ গত বুধবার থেকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। এবার একই দাবিতে রাজধানীর গুলশান ১ নম্বর সড়কের মোড়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেছেন তারা৷
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে এ অবরোধ শুরু হয়েছে।
অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া গাড়িগুলোকে মোড়ের চারপাশের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর দাবিটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এই যৌক্তিক দাবিটি নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ২ দিন কর্তৃপক্ষের সেই দিকে কোনো নজর নেই। কিছুক্ষণ আগেও দুজন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেজন্য আমরা এখন সড়ক অবরোধ করেছি।
অনতিবিলম্বে এ দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। আর তা না হলে আন্দোলন চলবে। একইসঙ্গে কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর সম্পর্কিত আমাদের সাত দফা দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত বাস্তবায়ন না হবে ততক্ষণ আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হচ্ছে —
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তখন তিনি তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।