স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবরোধ বিক্ষোভ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারির নিজস্ব জমিতে অবিলম্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে শাহজাদপুর পৌর সদরের দ্বারিয়াপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এর সামনের বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা এদিনের মতো অবরোধ তুলে নেন। তারা আবারও বুধবার সকাল থেকে আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবেন বলে ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। অবরোধ চলাকালে শাহজাদপুর শহরের সব অভ্যন্তরীণ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এছাড়া বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার যানজটে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এ সময় পাবনা-ঢাকার মধ্যে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
এ অবরোধ চলাকালে বক্তব্য দেন- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওশিন মাইসা, হৃদয় সরকার, শামীম হাসান, হাবিব, জাকারিয়া, বায়জিদ, স্বপন, জাহিদ, সমুদ্র, মেহেদী, মমিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ৮ বছর পার হলেও এখনো বিভিন্ন স্থানে ভাড়া ভবনে প্রশাসনিক কাজ ও একাডেমিক পাঠদান চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ও নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর অধ্যয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এত পরিমাণ শিক্ষার্থীদের জন্য নাই স্থায়ী ক্যাম্পাস। এর আগের ২ জন ভিসি নানা জটিলতায় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেননি। ফলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট সহ প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন যৌক্তিক আন্দোলন। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে ও করেই যাচ্ছে। অথচ এখনো ক্যাম্পাস ও নিজস্ব ভবন নির্মাণ হয়নি। জায়গাটা অধিগ্রহণ করা আছে। এ মুহূর্তে আমরা যদি কাজ করতে চাই, তবে করা যাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রশাসন সরকারের কাছে সংশোধিত জিপিপি জমা দিয়েছে। এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কাজ করছে। তারা এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে মিটিং আছে। এ মিটিংয়ে যদি অনুমোদন হয়, তবে আমরা আশা করি এ বছরের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে। নানা কারণে গত ৭ বছর এ কাজ হয় নাই। এজন্য তারা অনেক ক্ষেত্রে বিরক্ত ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারই এই বহিঃপ্রকাশ আজকের দেখা যাচ্ছে।
প্রো-ভিসি বলেন, আশা করব বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, কর্তৃপক্ষ, মন্ত্রণালয় ও সরকার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় এনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের ব্যবস্থা করবেন।