নারীদের মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
পর্দানশিন নারীদের বিগত ১৬ বছর ধরে নাগরিকত্ব না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং জড়িত স্বৈরাচারদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রীরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত পর্দানশিন ছাত্রী এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব বঞ্চিত করা মানবতাবিরোধী অপরাধ’, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে মুখচ্ছবি দেখে পরিচয় যাচাই মূর্খতার লক্ষণ’, ‘আমার চেহারা আমি দেখাবো না, এটা আমার প্রাইভেসির অধিকার’, ‘পরিপূর্ণ পর্দা করা আমার সাংবিধানিক অধিকার’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
মানববন্ধনে তারা বলেন, গত ১৬ বছর যাবত ইসির কতিপয় স্বৈরাচারী কর্মকর্তা শুধুমাত্র মুখচ্ছবির অজুহাতে পর্দানশিন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এতে পর্দানশিন নারীরা মৌলিক ও নাগরিক অধিকার বঞ্চিত হয়েছেন। যারা পর্দানশিন নারীদের মানবাধিকার হরণ করেছে তাদের বিচার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, এই দাবিতে শুধু ধর্মীয় অধিকারের মধ্যে পড়ে না, প্রাইভেসির অধিকারের মধ্যেও পড়ে। ফলে দুই দিক থেকেই পর্দানশিন নারীদের দাবি মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। গত ১৬ বছর শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে নারীদের সঙ্গে যে বৈষম্য হয়েছে তার পরিসমাপ্তি চাই। নির্ভুল যাচাইয়ের জন্য ফিঙ্গার প্রিন্ট এখন সর্বাধুনিক ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম। বর্তমানে এক ছবি একাধিক লোক ব্যবহারের প্রযুক্তিও আবিষ্কার হওয়ায় আধুনিক বিশ্ব মুখচ্ছবি দেখে পরিচয় যাচাই বর্জন করেছে।
এ সময় তারা তিন দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো- বিগত ১৬ বছর যাবত পর্দানশিন নারীদের মানবাধিকার হরণ করা ইসি কর্মকর্তাদের বিচার, পর্দানশিন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ণ রেখেই এনআইডি প্রদান এবং পর্দানশিন নারীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ায় মহিলা অফিস সহকারী বাধ্যতামূলক করা। এ সময় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে দেশব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাঠে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।