বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাখিল করা হয়েছে। সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বিষয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাখিল করা হয়েছে। আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৪ জুলাই রাত ১১টা থেকে দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া একই দিন রাত ১২টার সময় উপাচার্যের বাসভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ছররা গুলিবর্ষণ এবং ১৭ জুলাই দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দাখিলকৃত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিটির গৃহীত সাক্ষ্যসমূহ সাক্ষ্য আইন-১৮৭২ অনুযায়ী যথাযথ কিনা, সেই বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের ২ জন আইনজীবীর সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে তাদের মতামতসহ ৭ কর্মদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আইন অনুসারে অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্য হচ্ছে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা। 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গঠিত প্যানেলের মতামতসহ প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বিষয়ে যথাযথ নিয়মানুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বরাবরে আবেদন করা হবে।