হলের নাম ‘জুলাই ৩৬’, পছন্দ হয়নি বলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
ছবি: যুগান্তর
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা হলের নাম বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। বাকৃবির সর্বশেষ সিন্ডিকেটে হলের নাম পরিবর্তন করে জুলাই ৩৬ রাখা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এটি মেনে নেননি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হলেও সমাধান হয়নি।
এসময় তারা হল থেকে বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের
সামনে উপস্থিত হয়ে স্লোগানও দিতে থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা হলের নাম ফেরত
চেয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় ‘মানি
না মানব না’, ‘দাবি মোদের
একটাই, হলের নাম ফেরত চাই’ স্লোগান দিতে থাকে। রাত ১ টার দিকে তারা হলে ফিরে যায়।
জানা যায়, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩২৭তম
অধিবেশনে গৃহীত ৭নং সিদ্ধান্তমূলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান/নির্মাণাধীন
হলসমূহ, নতুন ভবন এবং স্থানের নাম পরিবর্তন হয়েছে।
পরিবর্তিত নামসমূহ হল— বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের পরিবর্তিত
নাম জুলাই ৩৬ হল, রোজী জামাল হল থেকে কৃষিকন্যা হল, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হল (অথবা
অন্য যে নামেই ডাকা হোক) থেকে বেগম খালেদা জিয়া হল, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ
মিয়া পিএইচডি ডরমেটরির পরিবর্তিত নাম শহীদ সাদ ইবনে মমতাজ পিএইচডি ডরমেটরি, নতুন অতিথি
ভবন/গেস্ট হাউজ থেকে কৃষিবিদ গেস্ট হাউজ এবং বঙ্গবন্ধু চত্বরের পরিবর্তিত নাম সমাবর্তন
চত্বর।
শিক্ষার্থীরা তাদের লিখিত অভিযোগে বলেন, প্রভোস্ট ম্যাম অভিভাবকের
দায়িত্ব পালন করতে পারেন নাই। প্রক্টোরিয়াল বডি এবং ছাত্র-বিষয়ক উপদেষ্টা হলে এসেই
ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগ দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা আবাসিক
শিক্ষার্থী কারা? এমন উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, আবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে আইডি
এবং ফ্যাকাল্টি জানতে চায় এবং হুমকি দিয়েছেন ভাইভা বোর্ডে ফেইল করিয়ে দেয়ার।
সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুনির হোসাইন স্যার ‘বঙ্গমাতার সাথে এত পীড়িত কেন
পিরিত কেন?’, এমন বক্তব্য
দিয়েছেন হলের নাম মেনে না নেওয়ার। সহকারী প্রক্টর আনিসুর রহমান মজুমদার (টিটু) স্যার
ব্যক্তিগত অ্যাটাক করে একজন শিক্ষার্থীর সাথে বাজে ব্যবহার করেছেন এবং ‘তুমি ছাত্রলীগ’ এমন আপবাদ দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, নতুন প্রবর্তিত নাম ‘জুলাই ৩৬’ চাই না। পূর্বের নাম
‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা
মুজিব হল’ বহাল চাই। সিন্ডিকেটের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হোক এবং সম্পন্ন
না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের নাম বহাল থাকবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী প্রক্টরদ্বয় বলেন, আমরা এমন কিছু বলিনি।
তারা বিষয়টি ভিন্নভাবে বুঝেছে।