
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
জাবির ২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার দাবিতে অবরোধ

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম

আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে দেয়ালে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মামলা তুলে নেওয়াসহ তিন দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে বিগত প্রশাসনের করা স্বৈরাচারী বহিষ্কারাদেশ বাতিল এবং ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ছাত্রলীগের হামলার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ও অমর্ত্য-ঋদ্ধর বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষক সোহেল আহমেদকে অবিলম্বে উপ-উপাচার্যের পদ থেকে অপসারণ করা।
অবরোধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূরে তামিম স্রোত বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। নতুন প্রশাসনকেও জানিয়েছি। কিন্তু তারা সেদিকে কর্ণপাত করছে না। উপরোন্তু গত বুধবার আমরা জানতে পেরেছি, ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছি।
চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক অনুষদ ভবনের দেয়ালে শেখ মুজিবুর রহমানের চিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার অভিযোগ ওঠে অমর্ত্য ও ঋদ্ধর বিরুদ্ধে।
পরে এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ করে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।