Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

রাবিতে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম

রাবিতে ‘আদিবাসী’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আদিবাসী ছাত্র পরিষদ ও রাজশাহী মহানগর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। 

একই সঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচার একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডুর অপসারণের দাবি ও নবনিযুক্ত পরিচালক হরেন্দ্র নাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদ জানান তারা। 

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা।

এ সময় তারা ‘আমরা আদিবাসী’, ‘আদিবাসী হিসেবে সাংবিধান স্বীকৃতি চাই’, ‘ষড়যন্ত্রকারী বেনজামিন টুডুর শাস্তি চাই’, ‘বৃত্তির টাকা লোপাটকারি বেনজামিন টুডুর অপসারণ চাই’, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচার একাডেমির নাম আদিবাসী কালচার একাডেমি চাই’, ‘আদিবাসীদের জন্য নতুন ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অনিল গজাড় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন আদিবাসী ছাত্ররা। হরেন্দ্র নাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে যারা মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে এসেছেন তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই। বেনজামিন টুডুর ছত্রছায়ায় আপনারা যারা একজন যোগ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লেগেছেন তারা কিসের ভিত্তিতে এসব করেন আমাদের সব জানা আছে।

রাজশাহী জেলা আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি উপেন রবিদাশ বলেন, আমরা যদি বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, তবে এই বাংলাদেশের সবাইকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। পাহাড়ে যেসব হামলা হয়েছে তার বিচার করতে হবে। পাহাড়ে যে ভূমি সমস্যা রয়েছে সেজন্য ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে। আদিবাসীদের জন্য আমরা একটি কালচারাল একাডেমি চেয়েছিলাম। সেই একাডেমির নাম দেওয়া হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচার একাডেমি। যার ফলে আদিবাসীরা সেখানে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। আমরা দাবি জানাই এর নাম আদিবাসী কালচার একাডেমি করা হোক।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে রাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পূর্বের বাংলাদেশ আমরা আর দেখতে চাই না। স্বাধীনতা যুদ্ধে পাহাড়ি থেকে সমতল সবস্তরের মানুষ অংশ নিয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য যখন সংসদে দাবি জানানো হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমান তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। বর্তমান সময়ে দেশের সংস্কারের যে বন্দোবস্ত চলছে, সেখানে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। 

রাবি আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সদস্য স্বপন তিগ্যার সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় আদিবাসি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নকুল পাহান, পার্বত্য চট্রগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বিজয় চাকমা, আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুমার উরাং।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম