রাবি ভিসি সালেহ হাসান নকীব
সীমাহীন পাপের বোঝা নিয়েও যাদের অনুশোচনা নেই, তারা কোন ধরনের দানব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে কেউ হাত হারিয়েছেন, কেউবা পা হারিয়েছেন। ছেলে হারিয়ে বুক ভারি হয়েছে কোনো মায়ের। বাবা হারিয়ে এতিম হয়েছে অবুঝ শিশু।
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘটনা বেশি দূর নয়, মাত্র সাড়ে তিন মাস আগের। তবে
এখনই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্যের সুর বাজছে। সেইসঙ্গে এতো মানুষকে হত্যার পরও
অনুশোচনার ঘাটতি দেখা গেছে দায়ীদের মধ্যে। এ বিষয়টিই ফেসবুকে এক পোস্টে তুলে ধরেছেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব।
গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে তৈরি ৮ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে শেয়ার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেই ভিডিওটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে রাবি
ভিসি উক্ত কথা লিখেছেন। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
দেখুন, বারবার
দেখুন, আর ভাবুন, আমাদের কী করা দরকার।
দেখুন, বারবার
দেখুন, আর ভাবুন, এই মাত্র সাড়ে তিন মাস অতিক্রান্ত হতে না হতেই যারা অনৈক্যের সুর
তুলছেন, তারা কেমন মানুষ।
দেখুন, বারবার
দেখুন, আর ভাবুন, সীমাহীন পাপের বোঝা নিয়েও যাদের মনে এতটুকু অনুশোচনা নেই, তারা কোন
ধরনের দানব।
বারবার দেখুন।
ভুলবেন না।
আসিফ মাহমুদের সেই ভিডিওর নিচে অনেকেই কমেন্ট করেছেন। কণ্ঠশিল্পী তাশরিফ
খান লিখেছেন, যারা নিজের জীবন দিয়ে, দেশটা আমাদের কাছে এনে দিয়ে গেলো, ওরা যদি এখন
দেখতো যে এই স্বাধীন দেশে আমরা এখন যার যার নিজের স্বার্থের পেছনে ছুটি আর উনিশ থেকে
বিশ হলেই নিজেদের মাঝে চৌদ্দ ভাগে ভাগ হয়ে যাই, ওরা সত্যি অনেক লজ্জা পেতো!
সাংবাদিক রাসেল সরকার লিখেছেন, ফটো সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয় ভাইয়ের
মেয়েটার কথাগুলো শুনে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। ওর কথাগুলো বার বার শুনছি আর
কাঁদছি। প্রত্যেকটি শহিদের স্বজনদের আর্তনাদ জানি না কী করে আপনাদের ঘুমাতে দেয়। জানি
না, এই রক্তের ঋণ কিভাবে শোধ হবে।
ইমরান আল নাজির নামের একজন মন্তব্য করেছেন, স্বাধীনতা হাইজ্যাক না হোক।
শারমিন শায়লা লিখেছেন, সন্তান হারানোর বেদনা কত যে কষ্টদায়ক যার হারিয়েছে
একমাত্র তার মা-বাবাই বোঝেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-আন্দোলনে গোটা জাতি আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানোর ব্যাপারে একমত থাকলেও সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ পেয়েছে নানা মহল থেকে।