রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল, থাকছে পোষ্য কোটা
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল শুরু হবে। আগামী ৫ থেকে ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক আবেদন প্রক্রিয়া চলবে এবং চূড়ান্ত আবেদন চলবে ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ বছর পোষ্য কোটা কমিয়ে ৩ শতাংশ ও মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রসহ ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে এ, বি ও সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ এপ্রিল ‘বি’ ইউনিট (ব্যবসা), ১৯ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিট ও ২৬ এপ্রিল ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষার দিন নির্ধারিত হয়েছে। প্রতিদিন এক শিফটে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ৫-১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক আবেদন শেষে ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া চলবে।
এ বছরও প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা এবং চূড়ান্ত আবেদন ফি ‘বি’ ইউনিটে (বাণিজ্য) ১১০০ টাকা এবং ‘এ' ইউনিট (মানবিক) ও 'সি' ইউনিটে ১৩২০ টাকা।
এদিকে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রাবি শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন। পোষ্য কোটা বাতিল না করলে আগামী রোববার থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণাও দেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, বিগত ৪৭ বছর ধরে এই কোটা চালু আছে। আমিই প্রথম এটায় হাত দিয়েছি। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত একটা কমিটি করা হয়েছিল এই কোটা রিভিউয়ের জন্য। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী আছেন তাদের বিষয়টাও চিন্তা করা হয়েছে। এই কোটা সংস্কারে তাদের জোরালো দ্বিমত ছিল। তবুও এটা ৪ শতাংশ থাকলেও ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ করা হয়েছে।
আলটিমেটামের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদেরও বুঝতে হবে সবাইকে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে হয়। এ বছর যেহেতু একটু সংস্কার হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটা আরও কমিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
বহুনির্বাচনি পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০। অনলাইনে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী কোটায় ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে।