গার্মেন্টস শ্রমিক সান্ত্বনা হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
গার্মেন্টস শ্রমিক সান্ত্বনার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবন হয়ে বটতলায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নূরে তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ জেনিচ বলেন, ‘এই সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার গঠনের পর তারা ঘোষণা করবে আর কোনো বিচারবর্হিরভূত হত্যাকাণ্ড হবে না। এই সরকারের ঘোষণা করা উচিত ছিল আর কোন শ্রমিক না খেয়ে মারা যাবে না, পুলিশের গুলিতে কোনো শ্রমিক মারা যাবে না, আর কোনো শ্রমিক বেতনের বকেয়া দাবিতে রাস্তায় নামবে না। সাভার আশুলিয়ার শ্রমিকরা যে আশা নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল তার ফলাফল হিসেবে তারা পেয়েছে বুলেট আর গুলি। কিছুদিন আগে পুলিশ এবং যৌথ বাহিনীর গুলিতে কাওছার আহমেদ মারা গেছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিধান করতে হবে। আজকে যে গার্মেন্টস শ্রমিক স্বান্তনা মারা গেছে সরকার তার নিরাপত্তা দিতে পারে নাই, সুতরাং এটি একটি রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে এটাই আমাদের দাবি।’
সমাপনী বক্তব্যে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসি বলেন, ‘গতকাল সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পাশে একটি নারীর হাত কাটা, মাথা কাটা মৃতদেহ পাওয়া গেছে। গণঅভুত্থ্যান এর যে সরকার এই সরকার হাজারো শিক্ষার্থী জনতার রক্তে অর্জিত সরকার। এই সরকার সব নাগরিকের রক্তের দাম, জীবনের ন্যায্য অধিকার তারা দিবে। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেক নারীরা তাদের অনিরাপদ মনে করছে। এরই মধ্যে নারী শ্রমিক যারা আছে তারা আরও বেশি অবহেলিত। তারা না পান বেতন ভাতা, না পান ন্যায্য অধিকার, না পান বসবাস এবং জীবন যাপনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ। এই গার্মেন্টস নারী শ্রমিককে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তার জন্য আমরা শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সব নাগরিকরা গভীরভাবে শঙ্কিত বোধ করছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঠিক করার জন্য তাদের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’