Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

কুবি মেডিকেল সেন্টার: জনপ্রতি মাসিক ব্যয় ৬ টাকা

Icon

সাঈদ হাসান, কুবি

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম

কুবি মেডিকেল সেন্টার: জনপ্রতি মাসিক ব্যয় ৬ টাকা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পরিবারের সদস্যদের জন্য মাসিক মেডিকেল বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ৬ টাকা। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৬৬ শিক্ষক, ৬ হাজার ৯২৪ জন শিক্ষার্থী, ১০৫ কর্মকর্তা ও ২০৪ কর্মচারী রয়েছেন। তাদের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা। ফলে মেডিকেলের প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা।

মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেডিকেল সেন্টারের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২ লাখ টাকা চলে যায় ইন্সট্রুমেন্ট কেনা ও মেরামতের জন্য, বাকি ৪ লাখ ওষুধের জন্য। তবে ওষুধ কেনার জন্য প্রতি মাসে উত্তোলন করা যায় ২৫ হাজার টাকা। এতেই মেডিকেলের ভ্যাট দিতে হয় ৩ হাজার ১শ টাকা থেকে ৬ হাজার ২শ টাকা পর্যন্ত। বাকি টাকা দিয়ে প্রতি মাসে ক্রয় করা হয় ১২ পদের ওষুধ; যা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য তুলনায় পর্যাপ্ত নয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের সেবাদানের উদ্দেশ্যে কিছু আধুনিক মেডিকেল সরঞ্জাম দেয় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে দুটি বেড, একটি এক্সরে ভিউ বক্স, একটি ইসিজি মেশিন, একটি অপারেশন-সামগ্রী জীবাণুমুক্ত করার অটোক্লেব মেশিন। তবে এগুলোর ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে গুটিকয়েক ওষুধ ছাড়া বেশিরভাগই ওষুধ বাহির থেকে ক্রয় করতে হয়। টিউশন করে চলা শিক্ষার্থীদের এভাবে বাইরে থেকে ওষুধ কিনা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। একটা ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালের মান আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলের মান একই হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল যেন প্রয়োজনীয় সকল ওষুধ সরবরাহ করে এবং ২৪ ঘণ্টা মেডিকেল সেন্টার খোলা রেখে আবাসিক ডাক্তারের ব্যবস্থা করার নতুন প্রশাসনের কাছে দাবি উত্তাপন করেন পরিবারের সদস্যরা।

ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, ভিসি স্যার আমাদের সমস্যার কথা শুনেছেন। আমরা আমাদের সমস্যা অনুযায়ী বিকাল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ডিউটি দেওয়ার জন্য দুজন চিকিৎসক, দুজন নার্স, দুজন ফার্মাসিস্ট এবং দুইজন অফিস সহায়ক নিয়োগের জন্য আবেদন করেছি। ওষুধের বাজেট এর পরিমাণও বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি অতিদ্রুত সমস্যা কেটে যাবে। তবে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। মেডিকেল সেন্টারে যেসব চিকিৎসা সরঞ্জাম আছে জায়গা সংকটের কারণে এগুলো ব্যবহার করা হয় না। নতুন ক্যাম্পাসে এই সমস্যা ও কেটে যাবে বলে তিনি আশা করেন। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, এ ব্যাপারে ডাক্তারদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তব্যরত ডাক্তাররা শহরে বিভিন্ন হাসপাতালে প্র্যাকটিস করে। আর বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটির জন্য ডাক্তার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, আমরা ওষুধের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছি। বন্ধের দিনেও মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তার থাকার ব্যাপারে আলোচনা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম