প্রতিপক্ষ ভেবে ইবি শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
ঝিনাইদহে স্থানীয় দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে একপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী। প্রতিপক্ষ ভেবে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহের আরাপপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মশিউর রহমান। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনার বিচার দাবিতে শুক্রবার বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহের আরাপপুরে টিউশনি শেষ করে ক্যাম্পাস বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সেখানে স্থানীয় দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। তাদের একটি পক্ষ তাকে প্রতিপক্ষ ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এ সময় তার হাঁটুর নিচে চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হয়। এছাড়াও হাতের কবজি, কনুই ও পাসহ তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় এক পথচারী তাকে আহত অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী নুর উদ্দিন জানান, আমাদের বন্ধুর ওপর অতর্কিত এ হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, টিউশনি শেষে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় সেখানে স্থানীয়দের দুইটি পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে একপক্ষ এসে আমাকে প্রতিপক্ষ ভেবে হামলা করে। তখন আমি ছাত্র পরিচয় দিলেও তারা আমাকে মারধর করে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি এ হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক, সহ-সমন্বয়করাসহ ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা এ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মশিউরের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচার কাজে কোনোরকম দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিলে আমরা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। ভুক্তভোগীর চিকিৎসার সব ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে। এছাড়া তাকে আইনি সহায়তা প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ থানায় জিডি করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে সে পড়ে যায়। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।