জাবিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সব ধরনের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের ‘ছাত্ররাজনীতির কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও,’ ‘জাকসু চাই জাকসু চাই দিতে হবে দিতে হবে,’ ‘ডান বামের রাজনীতি, চাইনা কারো উপস্থিতি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময় গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে আমরা ক্যাম্পাসে কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি চাই না। গণতান্ত্রিক উপায়ে শিক্ষার্থীদের রাজনীতি চর্চার জন্য অতি দ্রুত আমরা জাকসু চাই। প্রশাসনের যেকোনো ধরনের গড়িমসি সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। কতদিনের মধ্যে জাকসু কার্যকর হবে এরকম একটা সিদ্ধান্ত আমাদের আজকে জানাতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এরকম কোনো সিদ্ধান্ত পাব না ততক্ষণ আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দীন আয়ান বলেন, আমরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নয় দফা দাবি রেখে আমরা যে আন্দোলন করেছি তার এক দফা হচ্ছে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা দেখেছি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কিভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে মাদকের আখড়া তৈরি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে গেছে। তাই আমরা প্রশাসনকে বলে দিতে চাই, সরকার আপনাকে চেয়ারে বসিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেবা করার জন্য কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির আখড়া বানানোর জন্য নয়।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল ইসলাম বলেন, প্রশাসনকে বলে দিতে চাই আপনি যদি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন তাহলে আমরাও দেখে নেব আপনি কিভাবে গদিতে বসে থাকেন। উপাচার্য আমাদের বলেছিলেন তোমরা যা চাইবে তাই হবে। তাই আমরা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর নিয়েছিলাম; কিন্তু এখন আমরা দেখতেছি ক্যাম্পাসে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির আখড়া তৈরি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, গত মিটিংয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বসে জাকসু বিষয়ক আলোচনা করেছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি রেজুলেশন তৈরি করেছি, সেটার ব্যাপারে কোনো ভিন্নমত থাকলে আমরা আবার সেটি সংশোধন করব, সেখানে ছাত্ররাজনীতি বিষয়ক কোনো আলোচনা হয়নি। যেহেতু ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা এসেছে এবং যেটা আন্দোলনের অন্যতম দফা ছিল- তাই এ বিষয়ে আমরা জাহাঙ্গীরনগর পরিবারের সঙ্গে তথা সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব।