Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

‘রাজনীতিমুক্ত’ শেকৃবিতে ছাত্রদলের কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

Icon

শেকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৬ পিএম

‘রাজনীতিমুক্ত’ শেকৃবিতে ছাত্রদলের কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য গত ৫ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘিরে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় সংগঠনের কর্মসূচি মোতাবেক শেকৃবি ছাত্রদলের মৌন মিছিল ও স্মরণসভা পালিত হয়। 

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি ছাত্রদলের সভাপতি তাপস, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরসহ নেতাকর্মীরা।

তৌহিদ আহমেদ আশিক বলেন, শহিদদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আন্দোলনের নয় দফার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল ক্যাম্পাসকে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি মুক্ত করা। সেখানে শহিদ আবরারের মৃত্যুবার্ষিকীকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যারা অপরাজনীতি চালুর পাঁয়তারা করছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এ কাজে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ইন্ধনে অথবা কুচক্রী মহলের পাঁয়তারায় যে বা যারা যুক্ত হয়ে ক্যাম্পাসের আইন ভঙ্গ করেছে তাদের প্রশাসনিক জবাবদিহি করতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, রাজনীতি মানুষের মৌলিক অধিকার। ক্যাম্পাসে রাজনীতি কে বন্ধ করল না করল সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের প্রোগ্রামে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী ছিল। আমরা কাউকে জোর করে পরীক্ষার হল কিংবা আবাসিক হল থেকে ধরে আনিনি। শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে অংশ নিয়েছে। 

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালু থাকবে কিনা- এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই, আমরা চাচ্ছি মুক্তচিন্তা চেতনায়, সুন্দর পরিবেশের, অস্ত্র ও চাঁদাবাজমুক্ত রাজনীতি করার সুযোগ সবাই পাক। এটা আমরা একশবার চাই, ব্যক্তিগতভাবে এবং সংগঠন থেকেও এটাই চায়।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, সাদা দল অর্থাৎ বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের পরামর্শ ও মৌখিক অনুমতিতেই রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রদল এমন প্রোগ্রামের আয়োজন করতে পেরেছে৷ 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রোগ্রাম করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো ধরনের সমর্থন তারা নেয়নি এবং আমি ব্যক্তিগতভাবেও বিষয়টি অবগত ছিলাম না৷ তাই এ অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, আমাদের কাছে কেউ কোনো প্রোগ্রামের অনুমতি নেয়নি। আমরা যথাসম্ভব ক্যাম্পাসকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের পরিপন্থি হঠাৎ এ ধরনের রাজনৈতিক প্রোগ্রাম ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। আগামীকালই উপাচার্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বসব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম