রাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে প্রশাসনের বাধা দেওয়ার অভিযোগ
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনকে অপসারণের দাবিতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের সুষ্ঠু কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টর।
শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত এবং তাকে অপসারণের দাবিতে দুপুর ১২টায় মানববন্ধন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে কর্মসূচিটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুজন সহকারী প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হয়ে বাধা প্রদান করেন এবং কর্মসূচি পালনের জন্য প্রক্টর দপ্তরকে অবগত করা হয়েছিল কিনা তা জানতে চান। সেইসঙ্গে কর্মসূচিতে মাইক ব্যবহার করতেও নিষেধ করেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বলে কর্মসূচি সংক্ষেপ করতে বলেন। এ সময় দুই সহকারী প্রক্টরের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
মানববন্ধনে বাধা প্রদানকারী দুই সহকারী প্রক্টর হলেন- ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. আতাউল্যাহ।
এ বিষয়ে চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের শিক্ষার্থী লাবু হক বলেন, আমাদের সুষ্ঠু কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে দুই সহকারী প্রক্টর হুমকি দিয়ে বলেছেন যে, মানববন্ধন করার জন্য প্রক্টরের অনুমতি আছে কিনা? আমরা মাইক ব্যবহার করছি কেন? কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করতে তো প্রক্টরের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। আর মানববন্ধন করার কারণে সহকারী প্রক্টররা তো শিক্ষার্থীদের এভাবে হুমকি দিয়ে কথা বলতে পারেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে মানববন্ধনের বিষয়ে প্রক্টর দপ্তরকে অবগত করা হয়েছিল কিনা সেটি জানতে চেয়েছিলাম। পরে তাদের আমি মাইক ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিলাম। আমি মূলত আমার দায়িত্বের জায়গা থেকেই তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তবে তাদের দাবির প্রতি আমার কোনো অসম্মান নেই।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই কোড অব কনডাক্টের মধ্যে আছি। শিক্ষকরা শিক্ষকদের মতো, ছাত্ররা ছাত্রদের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক ব্যবহার করতে হলে প্রক্টর দপ্তরে একটা আবেদন করে অনুমতি নিতে হয়। সেটা তারা নিয়েছিল কিনা, আমি জানি না। সহকারী প্রক্টররা মূলত তাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে এ কাজ করেছেন। তবে এ ঘটনার জন্য শিক্ষার্থীরা মন খারাপ করলে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব।