এবার পদত্যাগ করলেন ইউজিসির আরেক সদস্য
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
রোববার রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তিত হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। যে কোন নতুন সরকারের দেশ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভিন্ন চিন্তা-ভাবনা থাকবে, আর এটাই স্বাভাবিক! সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’
এর আগে সকালে আলোচিত সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না বিধায় আমি অদ্য ৮ সেপ্টেম্বর উল্লিখিত সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমি আমার পূর্বের কর্মস্থল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপকের (গ্রেড-১) মূল পদে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পুনঃযোগদান করব।’
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। এরপর আলমগীরকে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার পর বিক্ষোভ করেন ইউজিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলন করেন কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলীরা।
তাদের অভিযোগ আলমগীর ভিসি থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্যাতন করেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন ১৬ জুলাই মধ্যরাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি প্রতিষ্ঠান মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন ইউজিসির তৎকালীন চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর।