মারধরের শিকার ঢাবি অধ্যাপক ড. জামাল, শিক্ষক সমিতির নিন্দা
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:০১ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীনের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও বিচার দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শুক্রবার শিক্ষক ঢাবি সমিতির এক সংবাদ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের ওপর গত ১৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে যে হামলা চালানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন ধানমন্ডি ৩২নং রোডে পৌঁছালে তিনি হামলার শিকার হন। এর ফলশ্রুতিতে তার মাথার একাংশ ফেটে যায়, বাম হাত ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের ওপর সংঘটিত এ আক্রমনের সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জোর দাবি জানাচ্ছে।
জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী ১৪ই আগস্ট রাত ৯টার সময় অধ্যাপক ড. জামাল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে মোমাবাতি প্রজ্জলনের জন্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডের মাথায় পৌঁছালে অজ্ঞাত কিছু লোক তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে অতর্কিত হামলা চালায়।
আনুমানিক রাত ৯টা ১০ মিনিটে তাদের হাত থেকে প্রানভয়ে বাঁচার জন্য অধ্যাপক জামাল দৌড় দেন। সেসময় তাকে ধাওয়া করে কয়েক দফা মারতে মারতে রাসেল স্কয়ারের সামনে থেকে স্কয়ার হাসপাতালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেখানে চতুর্দিক থেকে অধ্যাপক জামালকে ঘিরে আবারও উপর্যুপরি মারতে থাকে। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
গুরুতর আহত হওয়ায় বর্তমানে অধ্যাপক জামালের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি একটি গোপন স্থানে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার মাথায় দুই দিকের অংশ ও বাম হাতের কব্জির জখম গুরুতর। এছাড়াও শরীরের পিঠ, হাঁটু, হাত ও পায়ের বিভিন্ন অংশে জখম রয়েছে।