রাবি প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ থেকে এক শিক্ষকের পদত্যাগ
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ থেকে এক সদস্য পদত্যাগ করেছেন। কারণ হিসেবে সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনে সংগঠনটির ভূমিকা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপসহ অনুচিত হয়রানির ভূমিকা উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার সংগঠনটির কনভেনর বরাবর পদত্যাগপত্র দেন তিনি।
ওই শিক্ষকের নাম মো. রায়সুল ইসলাম। তিনি আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
পদত্যাগপত্রে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি ২০২৩-এ আমি আইন অনুষদের অধিকর্তা ক্যাটাগরিতে স্বতন্ত্র নির্বাচন করি। সে সময় থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের বিভিন্ন ইস্যুতে আমার মতপার্থক্য সুস্পষ্ট হয়। সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনে সংগঠনটির ভূমিকা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপসহ অনুচিত হয়রানির সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ভূমিকা ব্যক্তিগতভাবে আমি ক্ষুব্ধ ও আশাহত। এমতাবস্থায় আমি সংগঠনটি থেকে আমার সদস্যপদ স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে বাতিলের বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তবে সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পদত্যাগের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিষয়। যিনি আমার বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি হয়তো জানেন না।
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক রায়সুল ইসলাম বলেন, শুরু থেকেই এ সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে আমার মতপার্থক্য ছিল। এরপর গত ১৪ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগকে টাকা দিয়েছে। যাদের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করা তাদের ডিবি পুলিশ দিয়ে, মামলা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও শেষদিকে প্রশাসনের সম্মতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, টিয়ারশেল ছোড়া হয়েছে। সবকিছু জেনেও সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পক্ষে কোনো কাজ করেনি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমার শিক্ষার্থীদের ওপর এমন অন্যায় মেনে নিতে পারি না। তাই বিবেকের তাড়না থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ থেকে পদত্যাগ করেছি।