ক্যাম্পাস খুললেও ক্লাস শুরু হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
ফাইল ছবি
দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ১৭ দিন ধরে কখনও শিথিল, কখনও কঠোর অবস্থায় বহাল কারফিউ। যা আজ ভোর ৬টার শেষ হয়েছে।
এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ক্যাম্পাস খুললেও এখনও শুরু হয়নি ক্লাস। কবে ক্লাস শুরু হবে সে বিষয়ে এখনও কোনো দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার মুন্না বলেন, হলগুলো কাল থেকেই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চলছে না। ভিসি-প্রক্টরকে তো মানছে না কেউ। আল্টিমেটলি এখন কোনো অথরিটি নাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বৈঠক আছে। সেখানে সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালকে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এর বাইরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি একই রকম বলে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভীর হাসিব বলেন, আজ হলগুলো খোলা হবে। কিন্তু ক্লাস শুরু হতে সম্ভবত দেরি হবে। কারণ শিক্ষার্থীরা অনেকে বাড়ি গেছে। তাদের ফিরে আসতে হবে। শিক্ষকদেরও ক্লাস নেওয়ার জন্য একটা প্রস্তুতি থাকা লাগে। শিক্ষা কার্যক্রম বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস-হল সবকিছু এখন খোলা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুপম মল্লিক আদিত্যও জানান, ক্যাম্পাস খুলেছে, তবে ক্লাস চালু হয়নি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল, তার মাঝে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীর কাদির বলেন, এখনও হল খোলা হয়নি। হল যেহেতু বন্ধ, সেহেতু ক্লাস শুরু হতে দেরি হবে। তবে যেহেতু এখন কোনো প্রশাসনিক কাঠামো নাই, তাই শুনেছি যে আজ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই হল খুলে ঢুকবে।
তিনি আরও জানান, আজ ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক-এর সমাবেশ আছে।