Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

কোটা আন্দোলন: ঢাবির দুই শিক্ষকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০২:৫১ পিএম

কোটা আন্দোলন: ঢাবির দুই শিক্ষকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

পুরোনো ছবি

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ‘প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার’ অভিযোগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এক শিক্ষক।

রোববার (২৮ জুলাই) এসআই নূর আলম মুন্সী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোনম সাহা গত বৃহস্পতিবার ওই জিডি করেন।

জিডিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা ও নাট্যকর্মী ফেরদেীস আরা রুমীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। 

শিক্ষক সোনম সাহা বলছেন, আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া তার এক পোস্টকে ঘিরে তিনি ‘হুমকি’ পেয়েছেন।

আন্দোলনের সময় গত ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে ‘গুজব’ রটেছিল মন্তব্য করে সেসব ‘বিভ্রান্তি দূর করতে’ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ে ওই পোস্ট দিয়েছিলেন বলে সোনম সাহার ভাষ্য।

তিনি বলছেন, ওই পোস্টের পর অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা এবং তার বন্ধু রুমি তাকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে পাল্টা পোস্ট দেন।

এই অভিযোগ অস্বীকার করে গীতি আরা নাসরীন বলেছেন, তিনি তার কোনো পোস্টে কারও নাম উল্লেখ করে কিছু বলেননি।

জিডিতে সোনম সাহা বলেন, ‘অসংখ্য মানুষ যারা গুজবে আতঙ্কিত ও বিভ্রান্ত হয়েছিলেন, তারা ওই পোস্ট পড়ে আশ্বস্ত হয়। এর ফলে একটি স্বার্থান্বেষী অপরাজনৈতিক মহল আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক গীতি আরা নাসরীন আমাকে রেডিও পাকিস্তান, শান্তিবাহিনী এসব অভিধা দেন এবং পরোক্ষভাবে আমাকে মিথ্যাবাদী বলেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফাও আমার বয়ানকে অনলাইনে অসত্য বলে বয়ান করেন।’

‘তাদের প্রভাবে সরকারবিরোধী অনেক মানুষ আমাকে ভার্চুয়ালি, ভার্বালি অ্যাবিউজ করে। আমাকে কুরুচিপূর্ণ ও বিরূপ মন্তব্য করে। গীতি আরা নাসরীনের ফেসবুক বন্ধু নাট্যকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী আমাকে এজেন্সির লোক বলে বিপজ্জনক ইঙ্গিত দেয়। আমি মনে করি, আমাকে হুমকি দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টিতে এদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বা দায় আছে।’

অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন বলেন, আমার ফেইসবুকে সমস্ত কিছু ওপেন। ফেইসবুকে আমার একটা পোস্ট আছে, এ ধরনের কিছু একটা লিখেছি। কিন্তু সেখানে কারও নাম উল্লেখ করে এরকম কিছু লিখিনি। তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম