কোটা সংস্কার ও প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে তুমুল সমালোচনার মুখে সুশান্ত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৪, ১১:০১ পিএম
ফাইল ছবি
কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং প্রশ্নফাঁস ইস্যুতে ফেসবুকে এক পোস্ট করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৩০তম বিসিএসের কাস্টমস কর্মকর্তা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল।
শুক্রবার দেওয়া এ পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
শুধু তাই নয়, সুশান্ত পালকে প্রায় ১২ হাজার ভক্ত আনফলো করেছেন।
এদিকে পোস্টে সুশান্ত পাল লিখেছিলেন, ‘কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে। এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমায়েশের চাকর নই।’
কোটা আন্দোলন নিয়ে ১০ নির্দেশনা
তিনি আরও লেখেন, ‘এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই।’ ‘আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন’, যোগ করেন সুশান্ত পাল।
ক্যারিয়ার বিষয়ক এই বক্তা লেখেন, আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন।
তার এ পোস্টে বিভিন্নজন নেতিবাচক মন্তব্য করেন। কেউ লিখেছেন, আবেদ চাচার দরবারে দেখা করছিলেন নাকি? কেউ লেখেন, প্রশ্ন কেনার জন্য কত টাকা দিয়েছিলেন? কেউ আবার আনফলো ডান লিখে কমেন্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন।
কমেন্টস বক্সে সুশান্ত লিখেছেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে দেখলাম খুব ম্যাসিভ আকারে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। আমার হাসি পাচ্ছে, কেননা যে বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে, তার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্রও সংযোগ নেই। আপনারা কী কারণে এভাবে একজন লোককে ক্রমাগত বিরক্ত করে যাচ্ছেন, আমার কাছে তা অস্পষ্ট। নিশ্চয়ই আপনারা ক্যান্ডিডেট নন, আপনারা কেবলই ফ্যাসাদ সৃষ্টি করার ব্যাপারে আগ্রহী। ভুল তো আপনাদের নয়, আমার। কখনো বিনা পয়সায় বাঙালির উপকার করতে নেই। আপনাদের বোধোদয় হোক।
এই পোস্টের ফলে ১২ হাজারের বেশি ফলোয়ার কমেছে জানিয়ে কমেন্টস বক্সে সুশান্ত পাল লিখেছেন, ‘আমি মন থেকেই চাই, সংখ্যাটা ১ লাখ ছাড়াক। আনফলো করতে থাকুন অনুগ্রহ করে। আগাছা কমুক। আই লাভ ইউ।’