Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

রাবির ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, অংশ নেয়নি শিক্ষক সমিতি

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৮ পিএম

রাবির ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, অংশ নেয়নি শিক্ষক সমিতি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।  তবে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে এ আয়োজনকে প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সদস্যরা কর্মসূচিতে অংশ নেননি।

‘সাফল্যের সোপানে ৭১ বছর’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আয়োজিত কর্মসূচির শুরুতে সকাল ১০টা ৫ মিনিটে শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।  এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।  
এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা এবং প্রাধ্যক্ষবৃন্দ নিজ নিজ হলের পতাকা উত্তোলন করেন।

৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।  এরপর শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা ও বর্ণিল বেলুন-ফেস্টুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে উপাচার্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ অধিকর্তা, সিন্ডিকেট সদস্য, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট পরিচালক, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডেসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অনন্য। জ্ঞানকে শানিত করার উদ্দেশ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজশাহী কলেজের পরই রাজশাহীতে আমাদের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রয়াসে আমরা ৭১ বছর অতিক্রম করেছি। আমরা প্রশাসনের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগতমান বৃদ্ধির মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আজকের এই দিনে আমাদের সকলের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে হৃদয়ে ধারণ করার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। আমরা মূল কাজ থেকে অনেকটা বিচ্যুত হয়ে গেছি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়কে হৃদয়ে ধারণ করে সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে এর মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘একটি অসাম্প্রদায়িক, মানবিক, উন্নত শিক্ষা ও গবেষণামুখী এবং সংস্কৃতিবান্ধব একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রতিষ্ঠাতারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক এবং তারা দেশ ও বিশ্ব গড়ার কাজে নিয়োজিত হোক।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসান। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে পূর্ব থেকেই আমাদের একটি আন্দোলন চলছে। আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে আছি। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও জানিয়েছি। সেজন্য তারা কর্মসূচির কার্যক্রমও সংক্ষিপ্ত করেছেন। শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে আমরা অনুষ্ঠানে গিয়ে কেক কাটতে চাই না।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম