প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। 

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিলে দুপুর বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে শিক্ষার্থীদেরকে ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না আর না’, ‘মেধা নাকি কোটা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়। শুরুতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে ১ ঘণ্টা অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হলেও যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে প্রায় ৩০ মিনিট ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবদুর রশিদ জিতুর সঞ্চালনায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ মুহাম্মদ সিয়াম বলেন, আপিল বিভাগ আজকে ছাত্র সমাজের সঙ্গে একটা তালবাহানা করেছে। আমরা বলতে চাই, ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে যদি সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাহলে পুরো বাংলাদেশ অচল করে দেওয়া হবে। অতি দ্রুত ছাত্র সমাজের পক্ষে আপনারা রায় দিন। নইলে এই ফল আপনাদের ভোগ করতে হবে। আজকে আমরা সাধারণ মানুষদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে রাজপথ ছেড়ে দিবো। কিন্তু তাই বলে এই নয় যে, আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রাজপথ ছেড়ে দিবো, আর রাষ্ট্র আমাদের কথা চিন্তা করবে না। কোটা প্রথা বাতিল করা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমরা তাদেরকে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি শিক্ষার্থীরা তাড়াতাড়িই মহাসড়ক ছেড়ে চলে আসবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতের জন্য ক্যাম্পাসের দুইটি গেইট ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে যাতায়াত করছে।