ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করা হবে: জবি ভিসি
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
![ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করা হবে: জবি ভিসি](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/07/03/image-823500-1719943165.jpg)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম।
মঙ্গলবার এমনটা জানিয়ে জবি উপাচার্য বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের একটি অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য চিন্তার একটি বিষয়। কেননা সে স্বাধীনতার স্বপক্ষে গড়ে ওঠা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি সংগঠনের একটি শাখার সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের যে অভিযোগ, সেটি প্রশাসন দেখেছে। কিন্তু আমাদের শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলায় এ বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তার ছাত্রত্বও পর্যালোচনা করা হবে। যেটুকু আমি জানতে পেরেছি, সে এখন প্রফেশনাল প্রোগ্রামে ভর্তি রয়েছে, রেগুলার শিক্ষার্থী নয়। তবে এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগ খুবই মারাত্মক।
অধ্যাপক সাদেকা হালিম আরও বলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও একটি কমিটি হবে। কমিটিতে শিক্ষকরা থাকবেন। তবে এটি জাতীয় কনসার্ন। যেহেতু ২০১৬-১৭ সালের মেডিকেল কলেজের প্রশ্নফাঁস ছিল, তখনও আমরা বেশ কয়েকটা ঘটনা দেখেছি। সেহেতু আমি মনে করি, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করছে, তারাও দেখবে। আর ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির যারা আছেন, তাদেরও বিষয়টি দেখা উচিত বলে মনে করি।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ একটি গুরুতর বিষয়। আমরা যদি কারও বিরুদ্ধে এমন সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাই, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন বলেছেন, যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান। অনৈতিক ও গঠনতন্ত্র বিরোধী, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলে অবশ্যই সংগঠন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।