সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জাবিতে কর্মবিরতি
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সার্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারসহ তিন দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতি।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
এর আগে রোববার একই দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। তাদের দাবিগুলো হলো- অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন করা।
এ বিষয়ে জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের তিনদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চালিয়ে যাব এবং ক্লাসে ফিরব না। আমরা গত তিনমাস ধরে আন্দোলন করে আসছি। প্রথমে মানববন্ধন করেছি, এক ঘণ্টা কর্মবিরতি দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি দিয়েছি। পরে অর্ধদিবস, পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি তখন পরীক্ষা সমূহ চলমান ছিল। কিন্তু আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য আমরা আন্দোলন করছি। কারণ আমাদের যেটুকু সুবিধা ছিল সেটুকু বাতিল হলে এই পেশায় আর মেধাবী শিক্ষার্থীরা আসবে না। মেধাবীরা শিক্ষকতায় না আসলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
এদিকে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদিন সকাল থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের নিচে একটি প্রতিবাদ সমাবেশও করেছে জাবি অফিসার সমিতি।
অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, একই দেশে দুই ধরনের পেনশননীতি চলতে পারে না। আমরা এই পেনশন প্রথা বাতিল করে পূর্বের প্রথা বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতি এবং কর্মচারী সমিতি মিলে একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন ও কর্মবিরতি পালন করব।
এর আগে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত অনুযায়ী গত সপ্তাহের মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা তিনদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। তবে এ সময় ক্লাসগুলো বন্ধ থাকলেও পরীক্ষাসমূহ চলমান ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।