Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

চুয়েটের সব বিভাগে তালা দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

চুয়েটের সব বিভাগে তালা দিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ১২টি বিভাগে তালা ঝুলিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা এসব বিভাগের ফটকে তালা দেন। তালা দেওয়ার পর অনেক বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটকা পড়েন। অনেকে আগেই বেরিয়ে যান। 

আজ বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন কয়েকশ শিক্ষার্থী। তারা নানান স্লোগান দেন। পরে দলবদ্ধ হয়ে বিভাগগুলোয় গিয়ে তালা দেন তারা। এর আগে সকাল ১০টায় কাপ্তাই সড়কে গাছ ফেলে চতুর্থ দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মূলত সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। 

গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা, দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন ও জাকারিয়া হিমু। চুয়েটের কাছাকাছি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জিয়ানগর এলাকায় পৌঁছলে তাদের মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপরোয়া গতির শাহ আমানত পরিবহণের একটি যাত্রীবাসী বাস। চিকিৎসকের কাছে পৌঁছার আগেই মৃত্যু হয় শান্ত ও তৌফিকের। আহত হন জাকারিয়া হিমু।

দুর্ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় শাহ আমানত পরিবহণের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত নয়টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীর। পরে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর গত বুধবার সকাল ১০টা থেকে আবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সড়কটি আজও বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নে চুয়েট ক্যাম্পাস। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একটি অংশ পড়েছে চুয়েট ক্যাম্পাসে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের পাহাড়তলী এলাকা অংশে অনেক মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। মোহাম্মদ সবুর নামের এক চালক বলেন, তিনি চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকা থেকে রাঙ্গুনিয়ায় পাথর নিয়ে যাচ্ছিলেন। গতকাল রাত থেকে তিনি অপেক্ষা করছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বেলা দেড়টা থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করছে কর্তৃপক্ষ। সভা শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সহ-উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম