Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

যবিপ্রবি সোলার প্যানেলের গাড়ি আটকে চাঁদা দাবি ছাত্রলীগের

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬ পিএম

যবিপ্রবি সোলার প্যানেলের গাড়ি আটকে চাঁদা দাবি ছাত্রলীগের

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নিয়ে আসা সোলার প্যানেলের মালামালবাহী ট্রাক আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ও প্রক্টর বডির উপস্থিতিতে ট্রাকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পণ্য খালাস করেছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরোপুরি গ্রিন এনার্জির আওতায় আনার জন্য বুধবার চট্টগ্রাম থেকে ১২টি ট্রাকে করে সোলার প্যানেল নিয়ে আসে সুপার স্টার রিনিউয়েবল এনার্জি লিমিটেড। কিন্তু ৫টি ট্রাক সোলার প্যানেল আনলোড করতে পারলেও চাঁদা দাবি করে বাকি ট্রাকগুলো আটকে দেওয়া হয়। পরে দুটি ট্রাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রেখে বাকি পাঁচটি ট্রাক যশোর বাস টার্মিনালে অবস্থান করে। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে যবিপ্রবি উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে ট্রাকগুলো ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সোলার প্যানেল আনলোড করে।

সোলার প্যানেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল মোবাইল ফোনে কোম্পানির কাছে চাঁদা দাবি করেন। পাঁচটি ট্রাক সোলার প্যানেল আনলোড করতে পারলেও বুধবার রাতে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয়ের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আট থেকে ১০ জন নেতাকর্মী চাঁদা দাবি করে বাকি ট্রাকগুলো আটকে দেয়। 

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা ট্রাকগুলো আনলোড করেছি তাই আপাতত কোনো ঝামেলা দেখছি না। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেইনি। 

অভিযোগ অস্বীকার করে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল সাংবাদিকদের বলেন, এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। একটি পক্ষ ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে এমন অভিযোগ করতে পারে। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এই কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। 

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার মধ্যরাতে কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রনেতার চাঁদা দাবি করার বিষয়টি আমাকে জানায়। বৃহস্পতিবার সকালে আমি নিজের তত্ত্বাবধানে গাড়িগুলো ক্যাম্পাসে প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেই। যারা এসব অপকর্মে জড়িত তাদের পরিচয় জানা গেছে। তবে আমি এখন নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। যদি কোম্পানি লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম