নুরুল ইসলাম মাদ্রাসায় ১৪ হাফেজকে পাগড়ি প্রদান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধায় প্রতিষ্ঠিত ও উৎসর্গকৃত জামিয়া আরাবিয়া নুরুল ইসলাম মাদ্রাসায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবষের্র হেফজ সমাপনকারী ১৪ জন ছাত্রকে পাগড়ি প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে নুরুল ইসলাম জামে মসজিদে এ পাগড়ি বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের প্রকল্প প্রধান মাওলানা তোফায়েল গাজালি এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। পরিচালনা করেন মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা জুবায়ের আহমদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাফেজদের পাগড়ি প্রদান ও সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ভারতের জামিয়া মাদানিয়া গাঙ্গুহ সাহারানপুরের মুহতামিম আল্লামা আজহার মাদানী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বয়ান রাখেন ঢাকার দারুল উলূম নতুনবাগের মুহতামিম মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, পির মাওলানা আহসান হাবীব, মুফতি জাকির হোসাইন খান, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা সালেহ আহমাদ, হাফেজ মনিরুজ্জামান, মুফতি সুহাইল আহমদ, মাওলানা শফিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা আজহার মাদানী বলেন, কুরআন মানবতার মুক্তির সনদ। পথহারা মানুষকে আলোর পথ দেখাতে আল্লাহতায়ালা কুরআন নাজিল করেছেন। আজকের অস্থির পৃথিবীতে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে হলে আমাদেরকে আবার কুরআনের কাছে ফিরে যেতে হবে। প্রিয় নবী (সা.) এর পদাঙ্ক অনুসরণেই মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ।
অতিথিরা বলেন, কুরআনে হাফেজরা আলোর দিশারি। আল্লাহ তাদের অন্তরে কুরআনের প্রতিটি অক্ষর গেঁথে দিয়েছেন। তাদের মধুর কণ্ঠে কুরআনের আয়াত মুসল্লিদের মুগ্ধ করবে। তাদের দেখে সবাই কুরআন শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠান শেষে যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার পরিবারের জন্য ও যমুনা গ্রুপের উন্নতি, সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশু এবং এতিমদের ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে রাজধানীর উত্তরায় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছে যমুনা গ্রুপ। যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কমপ্লেক্সে মাদ্রাসা, মসজিদ ও এতিমখানা রয়েছে।