ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০০ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে তারা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলের জন্য স্লোগান দেন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিলসহ আরো চার দফা দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো- ১. অনতিবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করতে হবে। ২. দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। ৩. ট্রান্সজেন্ডার পরিচয়ধারীদের কোটা ব্যবস্থার আওতায় আনার মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডার মতবাদকে প্রমোট করে সংবিধান ও দেশের আইন পরিপন্থী কাজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। ৪. হিজড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
মানববন্ধনে ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য কোটা চালু করা অসাংবিধানিক উল্লেখ করে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া ইউসুফ বলেন, যারা অনগ্রসর মানুষ, সংবিধান অনুযায়ী কেবল তারাই কোটার সুযোগ পাবেন। তথাকথিত ট্রান্সজেন্ডাররা নিজেরা নিজেকে বিকৃত করে সমাজ থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। এটা এলজিবিটিকে প্রোমোট করে। আর যাদের প্রকৃত কোটা পাওয়ার অধিকার রয়েছে সেটিকে অস্বীকার করা হচ্ছে।
শামসুন্নাহার হলের এক ছাত্রী বলেন, চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, একজন তার বডির পরিবর্তন করতে পারলেও তার হরমনের ২০% এর বেশি পরিবর্তন করতে পারে না। তারা পুরুষই থেকে যায়।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জোবায়ের বলেন, হিজড়া প্রকৃতিক বিষয় কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার ভিন্ন বিষয়। একজন পুরুষে তিনটি বাচ্চা হওয়ার পর সে যদি দাবি করে, আমি এখন নারী হয়ে যাব। এখন তাকে কি মেয়ে হিসেবে মেনে নেওয়া হবে? তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কুলার থেকে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বাতিল করতে হবে।
বঙ্গমাতা হলের শিক্ষার্থী প্রিয়া বলেন, ট্রান্সজেন্ডার আর হিজড়া এক নয়। ট্রান্সজেন্ডাররা মানসিকভাবে বিকৃত। তাদের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ মুহূর্তে ঢাবি বিশেষ কোটা চালুর কারণে সমাজে একটি বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সজেন্ডার কোটার নামে এলজিবিটিকে প্রোমোট করা হচ্ছে। এটি বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।