Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ১১:০৬ পিএম

রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিতে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে এবার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নিজের ভাতিজাকে জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভর্তি জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের দাবি অনুযায়ী, নিজের ভাতিজা মো. শোভনকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রক্সি জালিয়াতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'সি' ইউনিটের গ্রুপ-১ এর ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল ২২।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জালিয়াত চক্রের সদস্য গণমাধ্যমে বলেন, কিবরিয়া ভাইয়ের ভাতিজার নাম শোভন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস সায়েন্সে পড়েন। তার ভর্তি পরীক্ষার এডমিট কার্ড দেখলেই বোঝা যাবে জালিয়াতি করা হয়েছে, সেটা তন্ময়ের (জালিয়াতি অভিযোগে বহিষ্কৃত শাখা ছাত্রলীগের আরেক নেতা) মাধ্যমে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক জালিয়াত চক্রের সদস্য বলেন, কিবরিয়া নিজেই তার আপন ভাতিজাকে ভর্তি করাইছে একটা এক্সপার্টের মাধ্যমে।

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়ের মাধ্যমে এই জালিয়াতি করা হয়েছে কিনা জানতে তন্ময়ের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এটা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ। এ বিষয়ে কিছু গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে সংবাদও প্রচার করা হয়েছে। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তারা নিজেরা বাঁচার জন্য আমাকে জড়িয়ে এটা করাচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে শোভনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তির সঙ্গে বিভাগ জড়িত না। প্রত্যেক ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটর থাকেন। ওনাদের এবং অনুষদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বিভাগে আসেন। সুতরাং এ বিষয়ে আপনাদের অনুষদের প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক শাহেদ জামান বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে তো অবশ্যই সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে।

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, এটা তো আসলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়। ওনারা যদি কোনো অভিযোগ বা মামলা আমাদের কাছে করেন, তাহলে তো আমরা সেটা নেব।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে প্রমাণিত হলে, জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীই আমাদের কাছে বিশেষ কেউ না। সবাই আমাদের কাছে সমান।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম