Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ায় শাবিতে ২ ছাত্রলীগ কর্মী হল থেকে বহিষ্কার

Icon

শাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৮ পিএম

শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ায় শাবিতে ২ ছাত্রলীগ কর্মী হল থেকে বহিষ্কার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের এক বৈধ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় একই হলের দুই শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে। পাশাপাশি অন্য হলে অবস্থানরত এক শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার বিকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান।

তিনি জানান, শাহপরাণ হলের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ২ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরেকজন শিক্ষার্থীকে একই ঘটনায় জড়িত থাকায় এবং হলের বৈধ শিক্ষার্থী না হওয়ায় তাকে হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন পিয়াস, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান। পাশাপাশি একই ঘটনায় জড়িত থাকায় এবং হলের আবাসিক শিক্ষার্থী (বৈধ) না হওয়ায় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ইফতেখার আহমেদ রানাকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, এখনো আমাদের কাছে অফিসিয়াল চিঠি আসেনি, চিঠি আসলে আমরা জানতে পারব।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্বের জেরে শুক্রবার রাতে দেলোয়ার হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে হুমকি দিয়ে বের করে দেয় সুমন মিয়ার অনুসারীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীও সুমন মিয়ার অনুসারী হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শাহপরাণ হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেলোয়ার শাহপরাণ হলের ২৩৯ নম্বর কক্ষের বৈধ শিক্ষার্থী। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে হলের সে কক্ষে সাদ্দাম অতিরিক্ত শিক্ষার্থী থাকার জায়গা করেন। এতে স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনে সমস্যা হলে দেলোয়ার প্রতিবাদ জানান। এজন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বিছনাপত্রসহ দেলোয়ারকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এ সময় সাদ্দামের নেতৃত্বে ইফতেখার, আশিকুরসহ প্রায় ১৫ জন মিলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় দেলোয়ারকে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি নিরাপত্তা ও হলের আসন নিশ্চিতে সহায়তা কামনা করেন।

এরপর সোমবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেনকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তার সিটে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে কমিটিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম